আজকের ব্লগপোস্টে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি, যা লেখা একবারেই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। জীবনের চলার গতীতে আমরা কত কাজ ই না করি। এমনও কিছু কাজ রয়েছে যেসব আমাদের সাধারণ মানুষের চোখে ছোট বা তুচ্ছ মনে ও হলে, যেসব কিন্তু অনেক বড় effect পড়ে আমাদের শরীর ও মনে। তাই এরূপ কাজ যেন আমাদের শরীর ও মন স্থির রাখে, তার ফর্মূলা নিয়েই আজকের আমাদের ব্লগগোস্ট।
আমাদের আজকের ব্লগপোস্ট-- ❝ছেলে এবং মেয়েদের যেসব শিক্ষা মেনে চলা উচিত❞ বা ❝আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন❞ একটা ছেলের কিভাবে চলা উচিত এবং একটা মেয়ের কোন দিকগুলো মেনে চলা উচিত। প্রিয় ভিজিটর আমরা কখনো একপক্ষ নিয়ে লিখিনা। জীবন চলার পথযাত্রী নারী ও পুরুষ তথা ছেলে ও মেয়ে। আপনারা এ বিষয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত যে ছেলে এবং মেয়ে একে অপরের প্রতি আকর্ষিত। তাই নয় কি? এই আকর্ষণকে কিভাবে উত্তম মাধ্যমে আনা যায় তাই আজকের ব্লগের আলোচনা করা হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে মানুষ (নারী-পুরুষ) সেরা জীব, তাদের উঠা-বসা, কাজ-কর্ম সব কিছুতে নমনীয়তা ভদ্রতা বজায় রেখে চলা উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক- আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন। বা আপনার জন ছেলে বা মেয়ে হিসেবে কোন সব নিয়ম মেনে চলবেন?
আমাদের আজকের ব্লগপোস্ট-- ❝ছেলে এবং মেয়েদের যেসব শিক্ষা মেনে চলা উচিত❞ বা ❝আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন❞ একটা ছেলের কিভাবে চলা উচিত এবং একটা মেয়ের কোন দিকগুলো মেনে চলা উচিত। প্রিয় ভিজিটর আমরা কখনো একপক্ষ নিয়ে লিখিনা। জীবন চলার পথযাত্রী নারী ও পুরুষ তথা ছেলে ও মেয়ে। আপনারা এ বিষয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত যে ছেলে এবং মেয়ে একে অপরের প্রতি আকর্ষিত। তাই নয় কি? এই আকর্ষণকে কিভাবে উত্তম মাধ্যমে আনা যায় তাই আজকের ব্লগের আলোচনা করা হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে মানুষ (নারী-পুরুষ) সেরা জীব, তাদের উঠা-বসা, কাজ-কর্ম সব কিছুতে নমনীয়তা ভদ্রতা বজায় রেখে চলা উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক- আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন। বা আপনার জন ছেলে বা মেয়ে হিসেবে কোন সব নিয়ম মেনে চলবেন?
প্রিয় ভিজিটর আজকের ব্লগপোস্টে আলোচনা করাবে দুটি বিষয় নিয়ে--
একটি সুস্থ সমাজিকতার পরিবেশ পেতে হলে ছেলেদের শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র হওয়া উচিত। এখন জেনে নাও- ছেলেদের আসলে কি করা উচিত? ছেলেদের কি শিক্ষা দেয়া উচিত? একজন সচেতন দায়িত্বশীল পিতা-মাতার হিসেবে আপনার ছেলেকে অবশ্যই যা শেখাবেন-----
পুরুষের চোখ- চোখের রোগ প্রতিরোধ করা
আপনারা এই বিষয়টা অবগত আছেন যে, কোন ছেলে যখন কোন মেয়ের দিকে তাকায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কু-দৃষ্টিতে তাকায়। এজন্য বলা হয়ে থাকে পুরুষের চোখ নাকি প্যাচা পাখির চোখের সদৃশ্য। রাস্তাঘাট হাটবাজার বা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেখানকার কথাই বলেন, দেখবেন যখন কোন মেয়ে কোন ছেলের সামন দিয়ে অতিক্রম করে তখন ছেলেরা মেয়ের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। এখন হয় আপনারা বলতে পারেন, একজন ছেলে একজন মেয়েকে তাকিয়ে থাকতেই পারে! হ্যাঁ দেখতেই পারে, এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানসিক চোখে। একটি ছেলে একটি মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু এই দেখার মধ্যে থাকতে হবে সৌজন্যবোধ, থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা। একটা জিনিস হচ্ছে- পৃথিবীতে কোন পুরুষ(ছেলে) ফেরেস্তা হয়ে জন্ম নেয়না। পুরুষের চোখ যেন তীরের নিশানার মত। রাস্তাঘাটে কোন নারী দেখলে চোখ ফেরাতেই চায়। এমনভাবে তাকিয়ে থাকে যেন যে ঐ নারীর দেহ সে তার চোখ দিয়ে এক্সরে করছে। কোন নারী সামনে দিয়ে গেলে সে অত্যন্ত নিখুকভাবে শরীরের প্রতিটি ভাজ নিয়ে অনর্থক টিন্তাকালাপে লিপ্ত থাকে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে পুরুষের চোখ যেন সর্বদা ছুটে থাকে পরনারীর দেহ দর্শনে। যার কারণে সৃষ্টি হয় দূর্ঘটনা। ছড়িয়ে পড়ে অশালীন কর্মকান্ড। তাই পুরুষের উচিত চোখ নত করে চলা অথবা চোখের চিকৎসা করা। আরেকটা জিনিস আপনারা খেয়াল করে দেখবেন- কোনো মেয়ে মাটি থেকে কখনও কোনো কিছু উঠাতে গেলে তার বুকের উপর লোভী জন্তুর ন্যায় না তাকিয়ে থাকে অনেক ছেলে। সুতরাং আপনার সন্তানকে চোখের এই অসুখ থেকে বাঁচাতে তাকে মনুষ্যত্বের সতর্কতা স্বরুপ উপদেশ দিন, এটা থেকে বিরত করা উচিত।
মার্জিত পোশাক পরিধান করা
দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত বেশি বস্তুগত দিক থেকে উন্নতি হলেও মানসিক দিক থেকে হয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণ। ইদানিং পথে ঘাটে বের হলেই দেখা যায় কিছু ছেলে ছোট ছোট প্যান্ট পড়ে চলাফেরা করে। এমনকি অনেক ছোট প্যান্ট পড়ে উপরে পোশাকহীন চলাফেরা করে। ছেলেদের উচিত- মেয়ে মানুষের সামনে কখনও ছোটো প্যান্ট পরে, পায়ের উপর পা তুলে বসবে না এবং পোষাকবিহীন অবস্থায় কোনো মেয়ের সামনে কখনই যাবেন না।
মেয়েদের পিছন পিছন না থাকা
ধরুন আপনি কোন মার্কেটে গেছেন অথবা কোন রেস্টুরেন্টে গেছেন বা কোন কর্মসংস্থানে গেছেন, সেখানে যদি কোন লিফট বা সিড়ি থাকে, সেই সিড়ি দিয়ে উঠা নামার সময় সর্তকতা নিয়ে পথ চলবেন। সতর্কটি হচ্ছে; ছেলেদের উচিত- সিঁড়িতে উপরের দিকে উঠার সময় যদি সামনে কোনো মেয়ে মানুষ থাকে, তাহলে নীচে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়াবে, মেয়েটি চলে গেলে তারপর উঠবে। এছাড়া সর্ব অবস্থায় মেয়েদের পিছনে থাকা থেকে বিরত থাকবেন।
একাকী কোন মেয়ের কাছাকাছি না থাকা
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অপরিচিত কোন কোন নারীর একাকি সঙ্গ থেকে বিরত থাকবে। যেমন ধরুন- লিপ্টে ওঠার সময় যদি অপরিচিত মেয়ে মানুষ থাকে এবং সংখ্যায় যদি এক হয়, তাহলে তার সাথে ওঠবে না! বরং অপেক্ষা করুন। সেই অপরিচিত মেয়ে বের হলে তারপর উঠবে। বিপদ তো মেয়েদের থেকেও আসতে পারে তাই নয় কি?
অনর্থক ভাষা থেকে বিরত থাকা
লাউডস্পিকারের ন্যায় উচ্চ আওয়াজে অট্টহাসি হাসবে না, সবসময় মুচকি হাসার অভ্যাস করবে :)
ফাক মি, বেবি.....
মেয়েদের থেকে ঘনিষ্ঠ কমানো
পরিচিত কিংবা অপরিচিত কোন মেয়ের সঙ্গে অঙ্গ সঙ্গ রেখোনা। এমনকি যে যদি তোমার চাচাতো বোন, মামাতা বোন, খালাতো বোন বা ফুফাতো বোন বা ভাবি হলেও তাদের সাথে মুসাফাহা করবে না, যদিও তোমার কাছে তাদের বয়সে বড়ো মনে হয়।
শারীরিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখা
মেয়েদের থেকে শারীরিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখবে। কোনো প্রয়োজনে মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে হলে, অবশ্যই শারীরিকভাবে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলবে।
মস্তিষ্কে ইতিবাচক সীমারেখা রাখা
নিকটাত্মীয় হলেও কাজকর্মে বা কথা বার্তায় অবশ্যই একটা সীমারেখা বজায় রাখবে। নিজের ভাবগাম্ভীর্য এমনভাবে বজায় রাখবে, যেন তোমার প্রতি তার ভিতরে খারাপ কল্পনা তৈরি না হয়। সবসময় নারী-পুরুষ এই বিষয়টা সাধারণ ভাবে ভাববে।
অহেতুক কার্যকালাপ থেকে বিরত থাকা
আই থিংক দিস ইজ দ্যা মেইন ফ্যাক্ট- যেটা সব ছেলেদের মানা উচিত। অবাধ চলাফেরা কর্মকান্ড থেকে বিরক থাকবে। রাস্তাঘাটে নিজ বন্ধুদের সাথে সিগারেট খাওয়া, হাসি ঠাট্টায় মোশগোল করবে না, রাস্তার শিষ্টাচার বজায় রাখার দায়িত্ব তো ছেলেমেয়ে সকলেরই তাই না?
একটা কথা আমরা প্রায় শুনতে পাই, এক হাতে কখনো তালি বাজে না। এতক্ষণ ছেলেদের বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে। ছেলেদের আসলে কি করা উচিত? ছেলেদের কি শিক্ষা দেয়া উচিত। একটি সুস্থ সমাজিকতার পরিবেশ পেতে হলে ছেলেদের সাথে মেয়েদেরও শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র হওয়া উচিত। এখন জানবে- মেয়েদের আসলে কি করা উচিত? মেয়েদের কি শিক্ষা দেয়া উচিত? আপনার মেয়েকে অবশ্যই যা শেখাবেন----
সতরের ব্যাপারে সতর্ক থাকা
মাটিতে বা নিচে কোন কিছু পড়ে গেলে তা নিচ থেকে উঠাতে গেলে অবশ্যই বুকের উপর এক হাত দিয়ে তারপর উঠাতে যাবে। সতর ঢাকার সতর্কতা স্বরুপ এটা করা উচিত।
উঠা-বসার আদব কায়দা
কোন পুরুষ মানুষের সামনে আদবের সহিত উঠা বসা করবে, যেন শরীরের কোন অঙ্গের সতরের বিঘ্ন না ঘটে। পুরুষের মধ্যে এমনকি ছোট কিংবা বড় ভাই, চাচা, মামা,ফুফা বা পিতার সামনেও কখনও পায়ের উপর পা তুলে বসবে না, দুই পা'কে মিলিয়ে বা খুব কাছাকাছি রেখে বসবে।
পুরুষ মানুষের সামনে না থাকা
সিঁড়িতে উপরের দিকে উঠার সময় যদি পেছনে কোনো পুরুষ মানুষ থাকে, তাহলে এক কোনায় গিয়ে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়াবে, পুরুষ লোকটি চলে গেলে তারপর উঠবে।
একাকী কোন ছেলের কাছাকাছি না থাকা
মনে করুন কোন অফিসে বা কারো বাসায় যাবেন বা গেছেন৷ উঠা বা নামার জন্য লিপ্ট আছে। কিন্তু যখন লিপ্টের কাছে আসলেন, দেখলেন যে লিফটে শুধু একটি পুরুষ মানুষ। তখন কি করবেন?
আচ্ছা ধরে নিন আপনার ধপধপে শুভ্র মন নিয়ে লিপ্টে উঠলেন কিন্তু ঐ ব্যক্তি থেকেও তো বিপদ আসতে পারে, তাই নয় কি? তাই নিজে সর্তক থাকার চেষ্টা করবে। লিপ্টে ওঠার সময়- অপরিচিত পুরুষ মানুষ থাকে এবং সংখ্যায় যদি একজনই হয়, তাহলে তার সাথে ওঠবে না বরং সময় নষ্ট করে অপেক্ষা করবে। সেই অপরিচিত লোকটি বের হলে তারপর উঠবে।
অনর্থক ভাষা থেকে বিরত থাকা
মেয়েরা স্বভাবই নাকি শান্ত প্রকৃতির। এই স্বভাবের প্রতিফলন রাখতে হবে। মুচকি হাসার অভ্যাস করবে, উঁচু আওয়াজে অট্টহাসি হাসবে না।
ছেলেদের থেকে ঘনিষ্ঠতা না রাখা
কোন পুরুষ মানুষের সাথে আহ্লাদে আটখানা হওয়া যাবেনা। সে পুরুষ তোমার চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই বা ফুফাতো ভাইদের সাথে মুসাফাহা করবে না, যদিও তারা তোমার থেকে বয়সে ছোট মনে হয়।
শারীরিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখা
কোনো প্রয়োজন বোধে যদি কোন পুরুষ মানুষের সাথে কথা বলতে হলে, অবশ্যই শারীরিকভাবে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলবে।
মস্তিষ্কে ইতিবাচক সীমারেখা রাখা
নিকটাত্মীয় হলেও কাজকর্মে বা কথা বার্তায় অবশ্যই একটা সীমারেখা বজায় রাখবে। নিজের ভাবগাম্ভীর্য এমনভাবে বজায় রাখবে, যেন তোমার প্রতি তার ভিতরে খারাপ কল্পনা তৈরি না হয়।
অহেতুক কার্যকালাপ থেকে বিরত থাকা
রাস্তাঘাটে নিজ বান্ধবীদের সাথে হাসি ঠাট্টা করবে না, রাস্তার শিষ্টাচার বজায় রাখবে। এমনকি নিজের বাসায়ও আড্ডা দিবেনা। কয়েকজন মহিলাদের গল্পগুজব আসরে কখনো যাবেনা।
শেষকথাঃ ছেলে এবং মেয়েদের যেসব শিক্ষা মেনে চলা উচিত
আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন। আজকের ব্লগপোস্ট আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন। আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন, তা নিয়ে কিছু আদবের কথা বলা হয়েছে। কথা হচ্ছে একজন মানুষ এভাবে একটা একটা নিয়ম করে আদব শিখানো যায় না। এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দেয়া উচিত। পিতামাতার উচিত ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়া। আপনার ছেলে এবং মেয়েদের অবশ্যই যেসব শেখাবেন।
আপনার জন্য আরো কিছু ব্লগ--
Comments
Post a Comment