পুরুষ মন সর্বদা নারীকে নিয়ে ব্যস্ত। সৃষ্টি শুরু থেকে অর্থাৎ আদিম যুগ থেকে শুনে আসছি নারী নাকি সার্চ ইঞ্জিনের মত। নারীর মন বোঝা কঠিন। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই নারীর মন নিয়ে একটু আলাদাভাবে নজর দেওয়া হয়। আর আপনিও যেহেতু এই পোস্ট পর্যন্ত এসেছেন, তাহলে আপনার মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কে বা মানুষের মন জানার সম্পর্কে আগ্রহ আছে। আপনি নারী বা পুরুষ হতে পারেন। এবং আমি এও ভেবে নেবো যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার পুরুষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ অনেক আগ্রহ নিয়ে আপনি "নারীর মন | অহংকার নারীর মন রহস্য ফাঁস"এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যেহেতু আপনি নারীর মন সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন তাই আমি ধরে নিচ্ছি আপনি পুরুষ এবং মধ্যবয়স্ক। কেননা নারী নারীকে যতটা চেনে তার থেকে বেশি জানতে, চিনতে বা বুঝতে চেষ্টা করেন পুরুষ জাতি। পুরুষ নারীদের বোঝেনা এর থেকেও বড় সত্যি হলো নারী নিজেই নিজেদের বোঝেনা। নারীকে নিয়ে পুরুষের কৌতুহল/আগ্রহ অনেক বেশি। যার কারনে পুরুষ প্রশ্ন করে, নারীর মন সম্পর্কে। নারীরা কেন অহংকারী? সুন্দরী নারী কেন অহংকার করে? হিউম্যান ফিলো ব্লগের আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট- নারীর মন, নারী কেন অহংকার করে? উক্ত ব্লগপোস্টে, অহংকারী নারীর মনের রহস্য ফাঁস করা হবে। অহংকারী নারীর মনের রহস্য জানতে ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়ুন--
সূচিপত্রঃ নারীর মন | অহংকারী নারীর মনের রহস্য ফাঁস
সুন্দরী নারী অহংকারী হয় কেন?
ছোট থেকে দেখে আসছি আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি; যেখানে নারীর কে নিয়ে প্রচুর চর্চা করা হয়। নারী দেহ ও মন নিয়ে। নারীর মন নিয়ে হিসাব করতে করতে অনেক সময় হিসাবের গরমিল হয়। এবং নারীকে জানার আগ্রহ অমীমাংসিত থেকে যায়। পুরুষ জাতি আরো আগ্রহ নিয়ে নারীকে জানতে চেষ্টা করে। পুরুষের ধারণা নাকি অহংকারী হয় পুরুষের তুলনায়। নারী মানেই কি অহংকারী মন?
সুন্দরী নারীর অহংকার এবং পুরুষের মতবাদ
সুন্দরী নারীর অহংকারী হয়- এ নিয়ে পুরুষের ভাবনাগুলো হলো--অনেকের ধারণা সুন্দরী মেয়েরা ভাব দেখানোর জন্য অহংকার করে তারা মনে করে তারা মনে হয় বিশ্ব সুন্দরী। আবার অনেকে মনে করেন- সুন্দরী নারীরা অহংকার করেন তাদের চামড়া সৌন্দর্যের জন্য। এবং সেই নারী মনে মনে চিন্তা করেন আমার মত সুন্দরী নারী আশেপাশে খুব কমই আছে। মনে মনে এই ধারণা পোষণ করেন এবং নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। নারীর এই বিভ্রান্তকর ধারণা থেকেই নারীরা অহংকারী হয়।
আবার কেউে কেউ মনে করেন সুন্দরী মেয়েদের পেছনে অনেক ছেলে ঘুরঘুর করে যার কারণে মেয়েরা অহংকারী হয়। নারী মানে অহংকারী, সুন্দরী নারী মানে অহংকারী এ নিয়ে পুরুষ জাতের আরো অনেক মতবাদ আছে।
নারী মানেই কি অহংকারী মন?
এখন কথা হচ্ছে, সুন্দরী নারী অহংকারী হয়-- এ নিয়ে পুরুষের ভাবনা কি সঠিক? সুন্দরী নারী মানেই অহংকারী হয় এ ধারণাটি একেবারেই ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমরা সমাজ থেকে জেনে আসছি যে, সুন্দরী মানে অহংকারী! সুন্দরী তুই অহংকারী! এই বিশ্বাসে।
মনে করুন-- আপনার ক্লাসে অনেকগুলো মেয়ে শিক্ষার্থী আছে, সেসব মেয়ের মধ্যে লিনা, জান্নাতি এবং বিথী এরা অন্য সকল মেয়েদের থেকে একটু বেশি সুদর্শন বা সুন্দরী। আপনার ক্লাসে মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে উপরুক্ত মেয়েগুলো আপনার চোখে বেশি সুন্দরী বলে মনে হয়। এবং সেই সাথে আপনি এটাও মনে করেন যে সেই মেয়েগুলো অহংকারী। কারণ আপনি এই ধারনায় বিশ্বাসী-- 'সুন্দরী মেয়ে=অহংকারী'।
আমার কথা হচ্ছে, কোন মেয়ে দেখতে সুন্দর হলে কি সেই মেয়ে অহংকারী? চলুন একটু পরিষ্কার করে বোঝা যাক।
মেয়েদের মন বোঝা কঠিন, কেন বলা হয়?
নারীরা স্বাভাবিক ভাবেই গাঁজা খেতে পছন্দ করেন না। ধরুন আপনি গাঁজা খেতে পছন্দ করেন। এবং আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে গিয়ে তাকে বলছেন- "এই শুনো আমি একটু গাজা খাই" একথা শুনে আপনার স্ত্রী বললেন- যা খুশি তাই খাও, বেশি করে খাও! অতঃপর আপনি আপনার স্ত্রীর কথা মত গাঁজা খেলেন। কিন্তু অন্যদিকে আপনার স্ত্রী মুখ গোমড়া করে বসে আছেন, মুখে তো আর নেই কোন শব্দ। তার সমস্ত চেহারা জুড়ে রাগ-অভিমানে ভরপুর। এখন আপনি আপনার স্ত্রীর এই ব্যাপারটি দেখে অবাক হয়েছেন- এইতো স্ত্রী আমাকে বললো গাঁজা খেতে। কিন্তু এখন কেন এরকম করছে?? নিজেই খেতে বলল অর এখন নিজেই রাগ করে আছে। নিজে অভিমান করে আছে। এবং এখন আপনি মনে মনে ভাবছেন- নারীর মন বোঝা আসলেই কঠিন।
ধরুন, আপনার বন্ধু মুন্না ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করেন। এবং সে তামিম ইকবালের অনেক বড় ফ্যান। বলতে গেলে তামিমের অন্ধভক্ত। তার মতে তামিম ইকবালের মত দ্বিতীয় আর কোনো ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার বিশ্বে নেই। মনে করুন- বিপিএলে রংপুরের পক্ষে কোন একটি ম্যাচে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। এবং ম্যাচ এ তামিম ইকবাল শূন্য রানে আউট হলেন। এমত অবস্থায় মুন্না মনে করেন এতে তামিম ইকবালের কোন দোষ নেই কারণ তিনি অত্যন্ত ভালো ক্রিকেটার। এই অবস্থায় মুন্নার চিন্তা চেতনা কোন অবস্থাতেই পরিবর্তন হবে না। কারণ সে আগে থেকেই মনে প্রানে বিশ্বাস করেই নিয়েছেন যে, একমাত্র তামিম ই বাংলাদেশে/বিশ্বের ভালো ক্রিকেটার। তিনি যতই মন্দ খেলুক তারপরও তার কোন দোষ/ভুল নেই। ব্যাপারটা ঠিক সেরকমই--মুন্না সাহেব হয়তো ছোট থেকেই সমাজ থেকে শুনতে শুনতে এই ধারণা নিয়ে বড় হয়েছেন যে- সুন্দরী নারী মানেই অহংকারী। মুন্না সাহেবের সামনে সুন্দরী কোন মেয়ে আসলে সে ভেবে নেয়, এই সুন্দরী মেয়েটি অহংকারী। আশা করি বুঝেছেন।
নারী এবং পুরুষের মন কি আলাদা?
উপরের হেডিং এ মুন্না সাহেবের আলোকে উদাহরণে বলা হয়েছে- আমরা সমাজ থেকে শুনতে শুনতে এই ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি যে, নারীদের মন বোঝা কঠিন। নারীরা অনেক জটিল মনের। আমাদের সমাজে এটা খুব প্রচলিত যে, পুরুষরা অনেক সহজ সরল। পুরুষের মন অনেক সহজ। একদম সিম্পল।
আর অন্যদিকে আমাদের মাথায় ঢুকানো হয়েছে-- নারীরা খুব কঠিন। নারীদের বোঝা যায় না। বড় বড় দার্শনিকরা চিন্তা চেতনা করেও নারীদের মন বুঝতে সক্ষম হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনারা হয়তো পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা মুভির একটা গানও শুনে থাকবেন। গানটি এরকম- "মেয়েদের মন বোঝা নয়রে নয় সোজা"
যা মানুষের একটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা।
হে মানবসম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নরনারী (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা কর এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।
উক্ত আয়াতে একটি প্রাণ হলো আদম, যিনি পুরুষ। তার থেকেই তার সঙ্গিনী হাওয়া কে সৃষ্টি করা হয়েছে, যিনি হলেন নারী। পুরুষ এবং নারী একই হৃদয় হতে সৃষ্টি। সুতরাং একজন পুরুষ হয়ে অন্য আরেকজন নারীকে ভিন্ন ভাবার কোনো কারণই নেই। পুরুষের মন সহজ সরল আর নারীর মন জটিল এরকম ভাবনা ভ্রান্ত। তবে নারী এবং পুরুষের কার্য ব্যবস্থাগুলো ভিন্ন। সুন্দরী নারী মানে অহংকারী তা নয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুন্দরী নারীরা অহংকারী। সেসব অহংকারী নারীর মনের গোপন রহস্য জানব এখন।
অহংকারী নারীর মনের রহস্য ফাসঁ
একজন অন্ধের কাছে কোন বিশ্বসুন্দরীরও মূল্য নেই। কারণ সে সুন্দরী মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকে না। সুন্দরী মেয়েরা নিজেকে সবচেয়ে ছোট মনে করে তাদের দিকে না তাকালে। তারা খুব হীন মনে করে নিজেকে যদি তার দিকে কোন ছেলেই না তাকায়।সুন্দর নারীর আক্ষেপ সব ছেলেই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে সে কেন তাকায় না। ওফফ খুব খারাপ লাগতেছে। সবাইকে ভক্ত বানাতে পারলাম তাকে পারলাম না। সুন্দরী মেয়েদের কে শাস্তি দিন তার দিকে না তাকিয়ে। কুৎসিত মেয়েদের ও তো সুন্দরভাবে বেচেঁ থাকার অধিকার আছে!
সুন্দরী নারী দর্শনে-- কবিতা
তুমি যোগ্য নও
আমার সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও।
কারণ তুমি ধর্যশীল নও।
আমার সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও।
কারণ তুমি অস্থিতির মতির মানুষ।
আমার সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও।
কারণ তোমার ভিতরে সহনীয়তা খুব কম।
আমার সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও।
কারণ তুমি রাগী স্বভাবের।
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি হিংসুক।
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি অহংকারী।
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি অতি লোভী।
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি তোমার ইচ্ছার দাস।
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি বুঝো কম বলো বেশি
আমার সাথে থাকার যোগ্য নও তুমি।
কারণ তুমি সত্য গোপনকারী।
তুমি আমার যোগ্য নও এই কারণে যে আমি প্রথমে তোমাকে পরীক্ষা করেছিলাম সব মন্দ দ্বারা তবে তুমি মন্দের পরিবর্তনে সত্য সুন্দরের পূজারী নও। আমি মানুষ কে বাছাই করি মন্দের দ্বারা কিন্তুু সে যদি থাকে সত্যে অবিচল তাহলে সে আমার সাথে থাকার যোগ্য তা নইলে নয়।
Comments
Post a Comment